নানা সময় সোজাসাপ্টা কথা বলে আলোচনায় আসেন পরিচালক মহেশ ভাট। দীর্ঘ জীবনের পথচলায় দেখেছেন অনেক কিছু। খ্যাতির চূড়ায় উঠে জমিয়েছেন কাড়ি কাড়ি অর্থ। ৭৪ বছরের জীবনের পড়ন্ত বেলায় তাই বুঝতে পারেন অনেক কিছুই। সে কারণেই কি না বলতে দ্বিধা করেননি, আমার মৃত্যুতে দুঃখ পাওয়ার বদলে খুশি হবে পরিবারের লোকজন।
ব্যক্তিগত জীবনে দুই বিয়ে করছেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী কিরণ ভাট, দুই সন্তান রাহুল ও পূজা। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সোনি রাজদানেরও দুই সন্তান, শাহীন ভাট এবং আলিয়া ভাট। তাই মহেশের মৃত্যু হলে বিশাল সম্পত্তির ভাগ বাটোয়োরা নিয়ে লড়াই হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। সে কারণেই কি না পরিবারটা তার কাছে বিশেষ কিছু নয়। ১৯৯৮ সালে সিমি গারেওয়ালের শো-তে পরিবার নিয়ে করা মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার সমাজের বড় শোষক, পরিবারের সদস্য এবং একজনকে সেই কর্তার ভূমিকা পালন করতে হওয়াটা বড় যন্ত্রণার, তাকে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘পরিবার বিষয়টা ভীষণ জটিল, কেউ যদি দূরে থাকে তবে তিনি খারাপ, খোঁজ না রাখলে তো বটেই। ’
শো-তে সিমিকে জানিয়েছেন, ‘তিনি নিষ্ঠুর নন এবং সমস্ত সম্পর্ক পারস্পরিক সমীকরণের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি কিছু পরিপূর্ণতার প্রয়োজন। ’
জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে তার উপলব্ধি, ‘মানুষকে একত্রিত করে সেই সম্পর্কগুলিই যখন পরিবর্তিত হয়, তখন তাদের মৃত্যু ঘটে। পরিবারের প্রধান মারা গেলে, মৃতদেহ ছাই হয়ে যাওয়ার আগেই মানুষ টাকার জন্য বিড়াল-কুকুরের মতো লড়াই করে। আমি যখন মারা যাব, আমি জানি আমার পরিবার বলবে ‘ওহ আমার প্রিয় বাবা, ওহ আমার প্রিয় স্বামী, আমরা তাকে খুব মিস করি, কিন্তু তারা খুশি হবে এটা ভেবে যে আমি তাদের জন্য একটি সোনার খনি রেখে এসেছি। ’